দু- মুঠো ইফতারী
-তোফায়েল আহমেদ
দিবার অবসানে মাহে রমজানে বাহারী খাবারে
ইফতারির বর্তন সাজে,
দূর থেকে তাকিয়ে থাকে কত অভুক্ত দরিদ্র জন
চোখের জলে রোজে।
ভালো খাবারের প্রতি ওদের ও স্বাদ জাগে, কিন্তু
ইফতারী কিনার সাধ্য নেই যাদের,
অভুক্ত আত্মারা পিয়াসে পিপাসা ছড়ায় বাড়ায়
ক্ষুধা,কাছে ডেকে একসাথে খাওয়াও তাদের।
দ্বারে- দ্বারে গরীব মানুষগুলো ঘুরে দু -এক মুঠো
ইফতারি পাবার আশায়,দয়া হয় যদি কাহার,
কিছু খাবে, কিছু পলিথিন মুড়িয়ে নিয়ে যাবে
বাসায় অভুক্ত পরিবারের করাতে আহার।
ওরাও আমাদের তোমাদের মত সমাজেরই মানুষ
ওরাই হলো শ্রেষ্ঠ মানুষ, অথচ গরীব পথচারী,
আজ রাজা তুমি, কাল ফকির হবেনা তারতো কোন
বিশ্বাস নেই, ওরে ধনীর দুলারী হইওনা অহংকারী।
চারিদিকে তাকিয়ে দেখো মনুষত্ব্যের সু ফটক খুলে
দেখবে সব দলে দলে অমানুষ,
দূর! বহুদূরে দেখা যাবে দু -একটি মানুষ,ওরাই ভবে গরীব,
ভিক্ষুক,অথচ নেকী উৎকৃষ্ট মানুষ।
যেখানেই দেখিবে অভাবী লোক ইফতারীর খোঁজে
পুটুলী হস্তে দৌড়াদৌড়ি করছে,
বিনয়ের সহিত হাতে তুলে দাও তোমার প্রিয় খাবার,
সাহায্য করো অর্থ, ভাববে মঙ্গল তোমাকে ধরছে।
সমাজে কেহ ইফতারী গরীবকে দেয় ছওয়াবের,
আশায়, কেহ আবার দেয় করুণায় কেহ দেয় ধমক,
মঙ্গলে মঙ্গল আসে, অমঙ্গলে অমঙ্গল, গরীব দেখে
নব পোশাক খাদ্য,টাকা, ফেতরা দেওয়া আবশ্যক।
হে মানব কিসের এত বড়াই করো নিঃশ্বাসের নেই বিশ্বাস
তোমার দেহ অবসানে পঁচে যাবে,
সমান কাপড় ও বিছানায় গরীব ও ধনী মাটির নীচে
কর্মের সঠিক হিসাবের রুপান্তর পাবে।
আজ মরলে কাল দুই দিন তারপর মনে না রাখার অচেনা দিন,
সৃষ্টি থেকে জন্মে কিভাবে আসিলা,
রমজান এসেছে পাপ মুক্ত জীবন উপহার দিতে
দু এক মুঠো ইফতারী হতে পারে নাজাতের উছিলা।
নেক নজরে তাকিয়ে দেখো গরীব লোকদের চোখে
তারা অল্পতেই কত হাসি খুশি,
ডেকে ডেকে তাদের ইফতারী খাওয়াও,
বাসায় পৌছে দাও গোপনে যত পারো বেশি।